কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা ও করনীয়
কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা ও করনীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। সৌন্দর্য ও
প্রকৃতির ঘেরা দেশটি হল কানাডা এবং অনেক জনপ্রিয় একটি দেশ। কানাডা মূলত আমেরিকার
একটি দেশ। এই দেশটি বিশ্বে দ্বিতীয় বড় দেশ। তবে কানাডা ভাষা প্রচলিত ইংরেজি ও
ফারসি। তবে আমরা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে অবশ্যই জানতে পারবো কোন কোন কারনে এই
দেশটিতে যাই।
বিশ্বের অন্যতম এক দেশ কানাডা। এই কানাডা দেশটি সারা বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
রাখে। এই দেশটি অনেকের কাছে স্বপ্নের একটি দেশ বলে প্রচলিত রয়েছে। বর্তমানে এই
দেশটিতে সকলে যেতে চাই এবং এই দেশটিতে যেতে হলে অবশ্যই আপনার কিছু যোগ্যতা লাগবে।
আমাদেরকে সেগুলো অবশ্যই জানতে হবে। এই আর্টিকেল থেকে কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা
সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা ও করনীয়
কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা ও করনীয়
কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা ও করণীয় সম্পর্কে আপনাদেরকে অবশ্যই জেনে রাখতে হবে।
কানাডায় একটি আমেরিকার দেশ। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বড় দেশ। আর এই
দেশটিতে যার জন্য অবশ্যই আপনাকে কিছু যোগ্যতা নিয়ে যেতে হবে। যেমন আপনার
শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং আপনি কোন কাজের ভিত্তিতে যাবেন সেই কাজের উপর দক্ষতা অর্জন
করে একটি সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
প্রিয় পাঠক কানাডা দেশটি সবার কাছেই স্বপ্নের একটি দেশ। কানাডায় সাধারণত
পড়াশোনা করার জন্য এবং চাকরি করার জন্য যাই। তবে আপনাদের অনেকেরই মনে প্রশ্ন
জাগে কানাডায় এই দেশটিতে কি অন্যান্য মধ্যপ্রাচ্য দেশের মতোই যেতে পারব কিনা।
অনেকে ভাবে মধ্যপ্রাচ্য দেই যেমন সৌদি আরব, মালেশিয়া, কাতার এই দেশগুলোর মতোই
কানাডায় যাওয়া যায়। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্য দেশের মতো করেই কানাডা যাওয়া একদমই
অসম্ভব।
কানাডায় এই দেশটিতে যার জন্য অবশ্যই আপনাকে HSC সার্টিফিকেট থাকতে হবে। এবং
আপনাকে ইংরেজিতে কথা বলার জন্য দক্ষ থাকতে হবে। এবং অবশ্যই আপনাকে ইংরেজিতে কথা
বলার জন্য ইংরেজি কোচিংয়ের সার্টিফিকেট থাকতে হবে। আবার যদি আপনি কানাডা কোন
জবের জন্য যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে হাই লেভেল এর ইংলিশ কোচিং এর সার্টিফিকেট
যেমন আইএলস লাগবে। তবে আপনি যদি কানাডায় কারো সাথে দেখা করতে চান তাহলে আইএলস
লাগবেনা।
বাংলাদেশ থেকে কানাডা যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে কানাডা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনাদের সবাইকে বিস্তারিত জেনে রাখা
প্রয়োজন যদি কখনো কানাডায় যাওয়ার ইচ্ছা থাকে। চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে নেই।
প্রিয় পাঠক বাংলাদেশ থেকে কানাডা যাওয়ার তিনটি মাধ্যম রয়েছে যে মাধ্যমগুলো
দিয়ে আপনি কানাডা যেতে পারবেন। চলুন তাহলে আমার জেনে আসি কোন তিনটি মাধ্যম দিয়ে
কানাডা যেতে পারবো।
পড়াশোনা করার জন্যঃ বাংলাদেশ থেকে কানাডায় আপনি পড়াশোনা করার জন্য যেতে
পারবেন। আপনি ছাত্র বা ছাত্রী হিসেবে খুব সহজেই কানাডা পড়াশোনা করতে যেতে
পারবেন। এবং কানাডা পড়াশোনা করতে যাওয়ার জন্য তাদের নীতিমালা অনুযায়ী ভিসার
ফর্মটি পূরণ করলে আপনি খুব সহজেই কানাডা ভিসা পেয়ে যাবেন। এবং আপনি সেখানে
পড়াশোনা করতে করতে সেখানকার নাগরিক হতে পারবেন এবং আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী
চাকরি করতে পারবেন।
চাকরি করার জন্যঃ বাংলাদেশ পড়াশোনা শেষ করে এবং কোন চাকরির উপর দক্ষতা
থাকলে আপনি চাইলে কানাডা যে চাকরি করতে পারবেন। কানাডা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন
প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে। এবং আপনি
চাইলে সেখানে চাকরির জন্য এপ্লাই করতে পারবেন। এবং সেই প্রতিষ্ঠান থেকেই আপনার
সকল কাগজপত্র ঠিকঠাক করে দিয়ে থাকে। এবং আপনি ভিসা লাগিয়ে খুব সহজেই চলে যেতে
পারবেন। এবং এগুলো করার জন্য আপনাকে অবশ্যই দক্ষ হতে হবে।
ব্যবসা করার জন্যঃ বাংলাদেশের যদি কারো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকে, এবং আপনি
যদি মনে করেন কানাডা দেশটিতে চুক্তির মাধ্যমে ব্যবসা করতে চাচ্ছেন তাহলে আপনি
অবশ্যই সেখানে ব্যবসা করতে পারবেন। কানাডা চুক্তিতে ব্যবসা করার প্রচলিত ভাষায়
ভিসা হচ্ছে নাকটি ভিসা। এবং আপনি সেখানকার কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে সরাসরি
চুক্তি করে ব্যবসা করতে পারবেন। বাংলাদেশ থেকে এভাবেই অনেকে ব্যবসা করার জন্য
কানাডা যায় পরবর্তীতে তারা পরিবারদের নিয়ে সেখানকার স্থায়ী হয়। এরপর এরা
সেখানকার নাগরিক হয়ে যায়।
কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি ও মাধ্যম গুলো কি
কানাডা ভিসা ক্যাটাগরিও মাধ্যমগুলো কি চলুন আমরা জেনে আসি। বাংলাদেশ থেকে কানাডা
যেতে হলে অবশ্যই আপনাকে ভিসা থাকতে হবে। শুধু কানাডা নয় আপনি যেকোনো দেশে যেতে
হলে আপনাকে ভিসা প্রয়োজন।
স্টুডেন্ট ভিসাঃ এই স্টুডেন্ট ভিসা দিয়ে আপনি পড়াশোনা করতে যেতে পারবেন।
এবং আপনি যদি মনে করেন উন্নত মানের পড়াশোনা করার জন্য কানাডায় যেতে চান তাহলে
অবশ্যই এই ভিসার দিয়ে আপনি যেতে পারবেন।
টুরিস্ট ভিসাঃ এই ভিসা দিয়ে আপনি বাংলাদেশ থেকে কানাডা খুব সহজে ভ্রমণ
করার জন্য যেতে পারবেন। কারণ অনেকেই কানাডা ভ্রমণ করতে চাই কারণ সেখানকার
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনেক সুন্দর। বেশিরভাগ মানুষ সেখানে নিজের ফ্যামিলি নিয়ে এই
কানাডা দেশটিতে ভ্রমণ করার জন্য যাই এবং পাশাপাশি সেখানকার উন্নতমানের চিকিৎসা
নিয়ে আসতে পারেন। এজন্য এটি একটি জনপ্রিয় ভিসা এবং এই ভিসাটি সবারই পছন্দ।
আরও পড়ুনঃ দুবাই যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫
ওয়ার্ক ভিসাঃ কানাডারে ওয়ার্ক ভিসা অনুমতিতে দিয়ে থাকে বিদেশি কর্মী,
চাকরি ও ব্যবসা ক্ষেত্রে। এই ওয়ার্ক ভিসা দিয়ে আপনি কানাডা চাকরির জন্য যেতে
পারবেন এবং এর পাশাপাশি আর একটি সুবিধা হল আপনি চাইলে এই ভিসা দিয়ে ব্যবসা জন্য
যেতে পারেন। এবং পরবর্তীতে আপনি যদি মনে করেন কানাডা কোন চাকরির জন্য যাবেন। এবং
আপনি কানাডা যেই প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য যাবেন সেই প্রতিষ্ঠানের নিজ দায়িত্বে
আপনাকে কাজ দিবে। চাকরি ও ব্যবসার ক্ষেত্রে এই ওয়ার্ক ভিসা আবেদন করতে পারেন।
কানাডা যাওয়ার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা কেমন প্রয়োজন
কানাডা যাওয়ার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা অবশ্যই লাগবে। মূলত কানাডায় দেশটিতে
যাওয়ার জন্য আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে HSC পাশ থাকতে হবে। এবং আপনি কানাডা
কি করতে যাবেন মূলত সেই ভিত্তিতে আপনার যোগ্যতা প্রয়োজন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে
এসএসসি পাশ দিয়েও কানাডায় যেতে পারবেন। তবে এইচএসসি অবশ্যই থাকতে হবে আপনার।
আপনি যদি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং উচ্চ ডিগ্রি নিয়ে কানাড়া যেতে চান তাহলে
আপনাকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করা সার্টিফিকেট থাকতে হবে। এবং আপনি যদি ভাষা যোগ্যতা
দিয়ে কানাডা যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ইংরেজি ভাষা ও কানাডার প্রচলিত ফারসি
ভাষা কোর্স করে যেতে হবে। কানাডা যাওয়ার জন্য ভাষার যোগ্যতার বেশ কিছু কোর্স
রয়েছে যেমনঃ TEF, IELTS, TOEFL ইত্যাদি কোর্স রয়েছে।
এবং আপনি যদি IELTS কোরে যেতে চান তাহলে অবশই ৫ পয়েন্ট থাকতে হবে তা নাহলে ভিসা
আবেদন কোরতে পাড়বেন না। এর পয়েন্ট অনুযায়ী আপনাকে নাম্বার দেয়া হয়ে থাকে।
ভিসা আবেদন করার জন্য এই নাম্বারটি প্রয়োজন হয়ে থাকে। তবে তারা পড়াশোনার
ক্ষেত্রে যাই তাদের অনেক অর্থের প্রয়োজন হয়। যেটা দিয়ে তারা খুব সহজে পড়াশোনা
চালাতে পারবে। এবং আপনার যদি দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি খুব সহজে কোন কাজ করতে
পারবেন। এবং আরেকটি বিষয় হলো আপনার এই IELTS নাম্বার দিয়ে কানাডা নাগরিকত্ব
পাওয়ার সময় প্রয়োজন হয়।
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন
বাংলাদেশ থেকে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার জন্য কিছু মাধ্যম রয়েছে।
যেগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে আপনাকে অনেক দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এবং কিছু স্কিল
অর্জন করতে হবে। কারণ আপনি যদি মনে করেন কানাডা কৃষি কাজের জন্য অথবা শ্রমিক এর
কাজের জন্য যাবেন । এভাবে আপনি যেতে পারবেন না। কারণ কৃষিকাজ এবং শ্রমিকের কাজ
তাদের দেশের মানুষ দিয়েই করে থাকে।
আরও পড়ুনঃকানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫
এবং তারা হাই লেভেলের মানুষ চাই যাদেরকে দিয়ে তারা উচ্চ লেভেলের কাজগুলো করে
নিতে পারে। এবং যদি আপনি কানাডা জব অফার পেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার কানাডা
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রয়োজন হবে। এখন আপনাদের অনেকেই কাছে মনে হবে ওয়ার্ক
পারমিট ভিসা আবেদন করার জন্য কি কি প্রয়োজন। প্রথমে আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
আবেদন করার জন্য LMIA কাগজ দরকার হবে।
তবে আপনি যদি সেখানকার স্থানীয় না হন তাহলে আপনাকে সুপারিশ করতে হবে এবং যে
আপনাকে জব অফার দিয়েছে তাকেই সুপারিশটি করতে হবে। পরবর্তীতে আপনাকে শিক্ষাগত
যোগ্যতার সার্টিফিকেট, পাসপোর্ট, LMIA পেপার ও IELTS পেপার লাগবে। এ সকল তথ্য
অনুযায়ী আপনি কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে পারেন। তবে আবেদন করার পর
অবশ্যই আপনার মেডিকেল টেস্ট করা হবে। এবং বিভিন্ন জিজ্ঞাসা বাদ করা হবে।
পরবর্তীতে আপনি কানাডা থেকে অনুমতি পেলে আপনার কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রদান
করা হবে। এরপর আপনি সমস্ত তথ্য এবং নীতিমালা অনুযায়ী প্লেনের টিকিট কেটে, কানাডা
ওয়ার্ক ভিসা দেখিয়ে খুব সহজে কানাডা প্রবেশ করতে পারবেন।
কানাডা টুরিস্ট ভিসা আবেদন
কানাডা টুরিস্ট ভিসা আবেদন করার কিছু নিয়ম রয়েছে এবং কানাডা যাওয়ার বেশ কিছু
নিয়মকানুন রয়েছে। এবং বাংলাদেশ থেকে অথবা যেকোন মধ্যপ্রাচ্য দেশ থেকে কানাডা
যেতে হলে অবশ্যই আপনাকে কিছু ডকুমেন্ট লাগবে। আপনারা অনেকে হয়তো কানাডা টুরিস্ট
ভিসা আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে জানেন না। এজন্যই হয়তো আপনারা অনেকে কানাডা
ভ্রমণ করতে পারছেন না।
কানাডা টুরিস্ট ভিসায় আবেদন করার জন্য অবশ্যই আপনাকে কোন একটা মাধ্যম দেখাতে হবে
যেমন আপনি সেখানে কোন কাজের উদ্দেশ্যে বা কি করতে যাবেন এমন কিছু তথ্য। তবে সেটা
আপনার কাছে হতে পারে কানাডা উন্নত মানের শিক্ষা নিতে যাবেন অথবা সেখানে চাকরি
করবেন এবং ভ্রমণ করতে যাবেন। তবে টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করার আগেই আপনি যদি
অন্য কোন দেশ ভ্রমণ করে থাকেন এবং সেই ডকুমেন্ট যদি দেখাতে পারেন তাহলে আরো অনেক
ভালো হবে।
কানাডাকে বেশি বেশি আবেদন করার জন্য আপনি যদি কিছু মাধ্যম দেখাতে পারেন যেমন আপনি
সেখানে যে কোথায় থাকবেন, কোথায় ঘুরবেন, এমন কিছু ডকুমেন্ট দিলে আপনার জন্য অনেক
ভালো হবে। টুরিস্ট ভিসা আবেদন করার জন্য অবশ্যই আপনাকে ব্যাংক একাউন্ট এই
ডকুমেন্ট দেখাতে হবে, যাতে তারা খুব সহজে বুঝতে পারে যে আপনি সেখানে ঘুরতে
যাওয়ার জন্য যোগ্য এবং আপনার সেই ক্ষমতা আছে। এবং এর সাথে আপনার ফ্যামিলির সকল
ইনফরমেশন দিয়ে এবং আপনার পার্সোনাল ইনফরমেশন দিয়ে ডকুমেন্ট জমা দিতে পারেন।
এবং কানাডা টুরিস্ট ভিসা আবেদন করার জন্য অবশ্যই আপনার পাসপোর্ট লাগবে। উপরে
দেয়া সকল তথ্যগুলো অনুযায়ী কানাডা টুরিস্ট ভিসা আবেদন করলে এটি খুব সহজেই
অনুমোদন পেয়ে যাবেন। এবং এর সকল তথ্য দিলে আপনি খুব সহজেই অনুমোদন পেয়ে যাবেন
এবং খুব দ্রুত অনুমোদিত হবে।
কানাডা যাওয়ার খরচ কত বা কেমন
কানাডা যাওয়ার খরচ বা কেমন খরচ হতে পারে সেগুলো আপনি যদি জেনে না থাকেন তাহলে
অবশ্যই নিজের সকল তথ্যগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। এগুলো জেনে রাখলে অবশ্যই আপনার
কাজে লাগবে।
টিকিটের দামঃ কানাডা যাওয়ার প্রথমে আপনাকে অবশ্যই বিমানের টিকিট কেটে
দিতে হবে। কানাডার টিকিট এটি এক এক সময় এক এক রকমের হয়ে থাকে। যেমন সর্বনিম্ন
৮০ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত টিকিটের দাম হয়ে থাকে। এবং
অবশ্যই আপনাকে কানাডা যাওয়ার আগে কানারা টিকিট সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে। তবে
এগুলো যদি আপনি জেনে না রাখেন তাহলে পরবর্তীতে আপনার কোন সমস্যা হতে পারে।
ভিসা খরচঃ ভিসা হচ্ছে আপনি কানাডা কেন যাবেন। এবং এই ভিসার মাধ্যমে আপনি
জানতে পারবেন কানাডা থেকে আপনাকে সেখানে যাওয়ার অনুমোদন দিয়েছে কিনা। এবং আপনি
কানাডা কিসের জন্য যাবেন এজন্য অবশ্যই আপনার ভিসা দরকার হবে। যেমন কানাডায় বেশ
কিছু ভিসার হয়েছে সেগুলো হলো, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, এবং স্টুডেন্ট
ভিসা ইত্যাদি। বর্তমান সময়ে কানাডা ভিসা তৈরি করতে ১৫ হাজার থেকে.২০ হাজার টাকা
খরচ হয়ে থাকে।
থাকা খাওয়া খরচঃ কানাডা যাওয়ার আগে আপনাকে মাথা রাখতে হবে সেখানে কি
খাবেন এবং কোথায় থাকবেন। এবং থাকা-খাওয়া খরচ এটি আপনাকে অবশ্যই মাথায় রাখতে
হবে। তবে বর্তমান সময়ে থাকা খাওয়া খরচ ১৫০০ থেকে ২০০০ ডলার খরচ হতে পারে। যা
বাংলা টাকায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। কানাডা যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে সকল তথ্য
মাথায় রাখতে হবে।
আমাদের শেষ কথা
কানাডা যেতে হলে আপনার যোগ্যতা অবশই লাগবে সেটা যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে। আপনার
ভিসা অনুযায়ী কাজের যোগ্যতা লাগবে। এবং আপনি কানাডায় যে কারণে যাবেন তার
অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা দুইটা থাকতে হবে। তবে আপনাদের উদ্দেশ্যে আমার মতামত স্টুডেন্ট
ভিসাটি আমার পছন্দের। কারণ স্টুডেন্ট ভিসায় পড়াশোনা করলে আর সেখানকার নাগরিক
হয়ে গেলে আপনার সে সকল কানাডার সরকার বহন করে থাকে।
প্রিয় পাঠক এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা ও করনীয়
সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন। এই আর্টিকেলে উপরে সমস্ত তথ্য ও নীতিমালা
অনুযায়ী আপনি কানাডায় গেলে সফলভাবে কানাডা যেতে পারবেন। এই আর্টিকেলটিতে কানাডা
যাওয়ার যোগ্যতা ও করণীয় তুলে ধরা হয়েছে। নতুন পোস্ট পেতে সব সময় আমাদের সাথে
থাকবেন এবং এই ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখবেন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url