কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন

কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ সম্পর্ক বিস্তারিত তথ্য এই আর্টিকেল মাধ্যমে খুব সহজেই জেনে যাবেন। এবং কিভাবে বাংলাদেশ থেকে ভিসা ফি ফ্রম করতে হয় সে বিষয়েও বিস্তারিত তুলে ধরবো এই আর্টিকেলে। বাংলাদেশ থেকে কানাডা অনেকেই যেতে ইচ্ছুক। তবে বাংলাদেশ থেকে কানাডা যাওয়াটা খুবই সহজ এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

কানাডা-ভিসা-ফি-ফ্রম-বাংলাদেশ

প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি খুব সহজেই জানতে পারবেন কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত। এবং সাথে আরও ১০ টি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরব। তাহলে চলুন আমরা এখন জেনে নেই সেই ১০ টি উপায় সম্পর্কে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ

কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ

কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ এ সম্পর্কে বিস্তারিত আমরা হয়তো অনেকে জানে না। তবে আমরা অনেকে কানাডা যেতে ইচ্ছুক। এবং কানাডা যেতে হলে অবশ্যই কানাডা ভিসা ফি ফ্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। কানাডা ভিসা সাধারণত কয়েক ধরনের হয়ে থাকে, যেমন টুরিস্ট ভিসা , স্টুডেন্ট ভিসা , পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। তবে কানাডা ভিসা ফি একেক সময় একেক ধরনের ফি হতে পারে।


প্রিয় পাঠক টুরিস্ট ভিসা খরচ হয়ে থাকে সাধারণত ৭ হাজার টাকা থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত। এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খরচ হতে পারে ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত। স্টুডেন্ট ভিসা খরচ হতে পারে ১০ হাজার টাকা থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত। এবং পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট এর ভিসা জন্য খরচ হতে পারে ৭৫ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে এ সকল ভিসা ফি সময়ের পরিবর্তে ওঠা নামা করে।

কানাডা ভিসা ফি কত

কানাডা ভিসা ফি কত এই প্রশ্নটি আমাদের সকলের মনেই থেকে যায়। তবে কানাডা ভিসা ফি কত এ বিষয়গুলো আমাদেরকে জেনে রাখা উচিত। কানাডা ভিসা সাধারণত কয়েক ধরনের হয়ে থাকে , যেমন স্টুডেন্ট ভিসা , টুরিস্ট ভিসা , কৃষি ভিসা , ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। এ সকল ভিসা গুলো একেক ধরনের ভিসা ফি প্রদান করতে হয় । এবং আপনারা যারা কানাডা যেতে চান তাদেরকে অবশ্যই এই বিষয়গুলো জেনে রাখতে হবে যেন পরবর্তী সময়ে তাদেরকে কোন সমস্যার সম্মুখী হতে না হয়।

প্রিয় পাঠক ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য সাধারণত ৬ লক্ষ টাকা থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। তবে আপনি যদি কোন এজেন্সির থেকে যেতে চান তাহলে এর খরচ আরো বেশি হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে ভিসা আবেদন ফ্রি ১২ হাজার টাকা থেকে ১৭ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে। এবং আপনার সকল ডকুমেন্ট যদি ঠিকঠাক থাকে তাহলে আপনি এক থেকে ছয় মাসের ভিতরে ভিসাটি হাতে পেয়ে যাবেন। সাধারণত এই ভিসার মেয়াদ দুই বছর।
কানাডা-ভিসা-ফি-কত

এবং স্টুডেন্ট ভিসা খরচ হতে পারে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। আপনারাই তো অনেকে জানেন স্টুডেন্ট ভিসায় গেলে প্রতি মাসে টিউশনি ফি দিতে হয়। প্রতি বছরের টিউশনি সাধারণত ৮ লক্ষ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিতে পারে। তবে আপনি যদি পড়াশোনা মাধ্যমে স্কলারশিপ পেয়ে যান তাহলে এই খরচটি আপনার কমে যাবে। এবং স্টুডেন্ট ভিসার সরকারি ফি ৯৫০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়।


তবে আপনি যদি কানাডা টুরিস্ট ভিসায় যেতে চান তাহলে খরচ হবে চার লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা। সরকারিভাবে টুরিস্ট ভিসা খরচ হয়ে থাকে ৬৫০০ টাকা পর্যন্ত। কানাডা কৃষি ভিসা খরচ হয়ে থাকে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা। আপনি যদি কানাডা যেতে চান তাহলে কোন বিষয় যাবেন সেগুলো ঠিক করে আপনি চাইলে কানাডা অফিসিয়ালি ওয়েবসাইটে ঢুকে অনলাইন আবেদন করতে পারেন খুব সহজেই।

কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায়

কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণভাবে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। কানাডা যাওয়ার আগে আপনাকে নির্বাচন করে দিতে হবে আপনি মূলত কোন বিষয়ে কানাডা যেতে চান। এবং আপনার সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ডকুমেন্ট তৈরি করে রাখতে হবে। আগেই বলি কানাডা সাধারণত কয়েক ধরনের ভিসা রয়েছে ,যেমন স্টুডেন্ট ভিসা , টুরিস্ট ভিসা , ওয়ার্ক পারমিট ভিসা , ও কৃষি ভিসা ইত্যাদি। আবারো বলি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট বলতে আপনার পাসপোর্ট, ভিসা ফি , ছবি, আবেদন ফরম , আবেদন কেন্দ্রের ফ্রি , আর্থিক প্রমাণ এসব সকল ডকমেন্ট প্রয়োজন।

প্রিয় পাঠক এরপর আপনাকে অনলাইনে আবেদন করার পরে সেটি আবেদন কেন্দ্রে জমা দিতে হবে। এবং আপনার হাতের আঙ্গুলের ফিঙ্গার অর্থাৎ বায়োমেট্রিক্স করতে হবে। এ সকল কার্যক্রম হয়ে গেলে আপনি অতি দ্রুত ভিসা প্রসেসিং হয়ে গেলে সেটি হাতে পেয়ে যাবেন। এরপরে আপনি খুব সহজে ভিসা পাওয়ার পরে কানাডা যেতে পারবেন। তবে একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে এ সকল ইনফরমেশন গুলো সঠিকভাবে দিতে হবে। এবং কোন পর্যায়ক্রমে ভুল হয়ে গেলে আপনার ভিসাটি বাতিল হয়ে যেতে পারে।

কানাডা ভিসা পেতে কতদিন লাগে

কানাডা ভিসা পেতে কতদিন লাগে এই বিষয়টি হয়তো তারাই বেশি জানতে আগ্রহ আপনারা যারা কানাডা ভিসা আবেদন করেছেন অথবা করবেন। সাধারণত আগে আপনার হাতের আঙ্গুলের ফিঙ্গার অর্থাৎ বায়োমেট্রিক্স জমা দিলে অল্প কিছুদিনের ভিতরেই রেজাল্ট দিয়ে দিত। এবং আগে হাতের আঙ্গুলের ফিঙ্গার দেয়ার ৫ থেকে ৬ দিনের ভিতরে আপনার ভিসা চলে আসতো। তবে এটি বর্তমান সময়ে দুই মাসের ও বেশি সময় লাগছে এবং অপেক্ষা করতে হয়।

অর্থাৎ ৬০ থেকে ৭০ দিন লেগে যেতে পারে আপনার ভিসাটি হাতে পেতে। তবে আপনি যদি ভিসার ভিতরে ট্রাভেল উদ্দেশ্য করে থাকেন এবং আপনার কাগজপত্র যদি সবকিছু সঠিক থাকে তাহলে এটা আপনি খুব সহজেই এবং এর আগেই পেয়ে যাবেন। এজন্য বর্তমান সময়ে এসে আমরা বলে থাকি এগুলো সব কিছু আপনার ডকুমেন্ট এর উপর নির্ভর করে। তাই এগুলো সাধারণত আমরা এভারেজ হিসাব করে বলে থাকি এটি এক মাস ও এক মাসের কোন সময়ে ভিসাটি হাতে পেয়ে যাবেন।

কানাডা যেতে কি কি লাগে

কানাডার ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এতক্ষণে জানতে পারলাম। এবার আমরা জেনে নেই কানাডা যেতে কি কি কাগজ লাগে। কানাডা যাওয়ার জন্য কিছু নিয়ম কানুন নীতিমালা রয়েছে। যেগুলো আপনাকে ধাপে ধাপে পূরণ করে তারপর কানাডা যেতে হবে। এবং কানাডার যার জন্য অবশ্যই আপনার ভিসা প্রয়োজন । কারণ ভিসা ছাড়া আপনি বিশ্বের কোন দেশেই যেতে পারবেন না। কানাডা ভিসা পাওয়ার পর এবং সেটি খেয়াল করতে হবে আপনার ভিসাটি যেন বৈধ হয়। এবং আপনার অর্থনৈতিক দিক থেকে উন্নত থাকতে হবে।


এবং কানাডা যাওয়ার জন্য আপনি সেখানে ভালোভাবে থাকতে পারবেন কিনা এ সকল বিষয়গুলো নিয়ে আপনার অর্থনৈতিক দিকটা চিন্তা করে থাকে। এবং এরপরে আপনাকে ভিসা আবেদন করতে হবে সেটা আপনি বাসায় বসে অনলাইনে করতে পারবেন। এবং এর জন্য আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। এবং আপনার ফিটনেস ও সুস্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। এবং এর পাশাপাশি আপনাকে ইংরেজিতে কথা বলার দক্ষতা অর্জন করতে হবে, আপনি চাইলে ইংলিশে একটি কোর্স করে নিতে পারেন। এরপর আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে খোঁজ নেয়ার জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে আসবে। মূলত কানাডা যেতে এ সকল বিষয়গুলো অবলম্বন করলেই খুব সহজে কানাডা যেতে পারবেন।

কানাডা ভিসা আবেদনের নিয়ম

কানাডায় ভিসা আবেদনের নিয়মের কথা বললেই প্রথমেই বলব কানাডা ভিসার জন্য কানাডা কোন কোম্পানি অথবা কোন প্রতিষ্ঠান থেকে একটি LMI পত্র আবেদন করার মাধ্যমে পেতে হবে। এবং এর অর্থ হল তাদের থেকে আপনাকে একটি অনুমোদন পত্র নিতে হবে। এরপর আপনার শিক্ষা তো যোগ্যতা সর্বনিম্ন এসএসসি পাস থাকতে হবে। এবং ইংরেজিতে কথা বলা দক্ষতা থাকতে হবে। ইংরেজিতে কথা বলার জন্য একটি কোর্স IELTS এর পরীক্ষা স্কোর প্রয়োজন হবে।

কানাডা-ভিসা-আবেদনের-নিয়ম

এবং আপনার সকল পার্সোনাল ডকুমেন্ট দিয়ে কানাডা অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে অথবা Immagration.com এই ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হবে। এবং আপনার সকল ডকুমেন্ট অথবা কাগজপত্র যদি সঠিক থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই কানাডা ভিসা হাতে পেয়ে যাবেন। এবার হয়তো আপনি সম্পূর্ণভাবে বুঝতে পেরেছেন কানাডা ভিসা আবেদনের জন্য আপনার কি কি প্রয়োজন।

বাংলাদেশ থেকে কানাডা যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে কানাডা যেতে কত টাকা লাগে এ সম্পর্কে হতে বিস্তারিত এখন জানতে অনেক ইচ্ছে। তবে আমরা উপরের অংশে জানতে পেরেছি যে কানাডা ভিসা কয়েক ধরনের রয়েছে। এবং এ সকল ভিসার জন্য এক এক ধরনের ভিসা ফি প্রদান করতে হয়। এজন্য আপনাকে সর্বপ্রথম আপনি কোন বিষয় কানাডা যেতে চান সেটি নির্বাচন করতে হবে। এরপর আপনার খরচ বেশি হতে পারে। এবং ভিসার বাইরে ও আপনার কিছু টাকা খরচ হতে পারে।

প্রিয় পাঠক আপনাকে কানাডা যাওয়ার জন্য আপনার হাতের আঙ্গুলের ফিঙ্গার অর্থাৎ বায়োমেটিক্স দিতে হবে। এরপর আপনার শরীরের ফিটনেস এবং সুস্বাস্থ্য চিকিৎসা ডকুমেন্ট নিতে হবে এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। এ সকল কাজ কাজগুলো করার জন্য কিছু টাকা খরচ হবে। এবং ইংরেজিতে কথা বলার জন্য কোর্স করতে হবে। এ সকল খরচ মিলিয়ে বাংলাদেশ থেকে কানাডা যাওয়ার জন্য পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হবে যদি আপনি কোন দালালের চক্করে না পড়েন। এবং আপনি যদি পড়াশোনা করতে যান অথবা ভিসার মেয়াদ বেশি করতে চান তাহলে এর থেকে বেশি টাকা খরচ হবে।

আমাদের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক কানাডা ভিসা ফি ফর্ম বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত এতক্ষণ জানতে পেরেছেন। এবং আমি আশা করি এ সকল তথ্য পেয়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। কানাডা আমাদের সকলের কাছে একটি স্বপ্নের দেশ। এবং কানাডাতে যাওয়ার জন্য আমরা সঠিক নিয়ম গুলো অবলম্বন করতে পারে না অর্থাৎ দালালের চক্রে পড়ে অনেক বেশি টাকা লেগে যায়। এজন্য ওরা মনে করে থাকি কানাডা যেতে অনেক টাকা প্রয়োজন হয়। তবে আপনি যদি আর্টিকেলের সকল পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন তাহলে আপনি কম টাকায় কানাডা যেতে পারবেন খুব সহজে।

প্রিয় পাঠক আপনারা যারা এই ধরনের তথ্য পেতে চান তাদের জন্য আমরা এ সকল নিয়ম নীতি গুলো আপনাদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরে থাকি। এবং আপনারা যদি এ সকল অজানা তথ্য পেতে চান তাহলে অবশ্যই এই ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আমরা বিশ্বাস করি আপনাদের সকল তথ্য দিয়ে আপনাদের সঠিক চিন্তাভাবনা এবং সকল কঠিন কাজগুলো সহজ করে দেয়ার চেষ্টা করব। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের কে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url